Logo

ক্যাম্পাস

বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দিল ইউনিভার্সাল হেল্প হাব

Icon

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৭

বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দিল ইউনিভার্সাল হেল্প হাব

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ১২০ শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দিয়েছে ইউনিভার্সাল হেল্প হাব। ছবি : বাংলাদেশের খবর

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২২টি বিভাগের ১২০ জন সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ১২ লাখ টাকার এককালীন বৃত্তি দিয়েছে ইউনিভার্সাল হেল্প হাব (ইউএইচএইচ)।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের গ্যালারি রুমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি তুলে দেন বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী ও ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম।

‘নাহার-ইউনিভার্সাল হেল্প হাব আপলিফ্টমেন্ট স্কলারশিপ এন্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুমাইয়া খান অনামিকা।

বেরোবি উপাচার্য ড. শওকাত আলী ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের প্রশংসা করে বলেন, মুজাহিদ স্যারসহ তার বন্ধুদের এ মহৎ উদ্যোগ বাংলাদেশে আর কোথাও দেখিনি। এ ধরনের বিশেষ সহায়তা শিক্ষার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিয়ে আসে। এ স্কলারশিপের মাধ্যমে অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী তাদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে।

ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। এ স্কলারশিপের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। যাতে তারা কোনো আর্থিক সংকটের কারণে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়। আজ আমরা ১২০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এককালীন বৃত্তি দিচ্ছি। যাদের বাবা-মা নেই, তারা পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতা বুঝতে পারে। বাবা-মার অভাব কখনো পূরণ করা যায় না।

বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আজকে এখানে এসেছি, এর সবচেয়ে বড় অবদান আমার মায়ের। তিনি আমাকে সর্বপ্রথম ৫০ টাকা দিয়ে স্কুলে ভর্তি করেছিলেন। এ ধরনের বৃত্তি না থাকলে পড়াশোনা করা কঠিন হতো। ভবিষ্যতে আমি ভালো কিছু করে সমাজে কল্যাণ করতে চাই।

বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আজকে যে এখানে এজন্য সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের। আমার মা আমাকে সর্বপ্রথম ৫০ টাকা দিয়ে স্কুল ভর্তি করেছেন। আমার পড়াশোনার পেছনে এ ধরনের বৃত্তি না থাকলে আমার জন্য পড়াশোনা করা খুবই কষ্টকর হতো। আমি যদি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করি তাহলে কোনোদিন অন্যায় করব না। একজন ভালো মানুষ হতে চাই।

আরেক শিক্ষার্থী হুসনেরা খাতুন বলেন, আমি বাবা কখনো ডাকিনি। বাবাকে কখনো দেখিনি। আমি যদি আজকের এ বৃত্তি না পেতাম তাহলে আমার ডিপার্টমেন্টের একটি প্রোগ্রামের কাজ করতে পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নাহারকে এ সহযোগিতা করার জন্য।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা পরিচালক প্রফেসর ড. ইলিয়াস প্রামাণিক, সহকারী প্রক্টর ড. আবদুল্লাহ আল মাহাবুব, রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ মাখদুম, সাইফুল ইসলাম সজীব, আফজাল হোসেন শাকিল ও এএম মুবাশ্বির শাহসহ শতাধিক বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর