ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী ‘মলিদা উৎসব’

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩৭
-68a1cd1dcd84f.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
‘ধান, নদী, খাল—ইলিশের নিবাস বরিশাল’ স্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত হলো বরিশালের ঐতিহ্যবাহী ‘মলিদা উৎসব-২০২৫’। রোববার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল মলিদা পরিবেশন ও বরিশালের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য প্রদর্শনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা রঙিন সাজসজ্জায় স্টল সাজিয়েছেন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে বরিশালের ইতিহাস, নদ-নদী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের ছবি। পাশাপাশি লোকসংস্কৃতি ও গানের নানা দিক তুলে ধরেন আয়োজকরা। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ডায়না চত্বর।
মলিদা তৈরির উপকরণ সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, এতে ব্যবহার করা হয় নারিকেল, আদা, চিড়া, মুড়ি ও পোলাও চালের গুঁড়া। এরপর বরফ, পানি, চিনি ও লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই খাবার।
আয়োজক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আর নোমান বলেন, ‘বরিশালের ঐতিহ্যবাহী খাবার মলিদাকে সবার কাছে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরা যাতে মলিদা সম্পর্কে জানতে পারে, সে জন্য এ আয়োজন। মাত্র ২০ টাকা শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে, যাতে সবাই স্বাদ নিতে পারে।’
দর্শনার্থী শিক্ষার্থীরা জানান, আগে শুধু নাম শুনলেও সরাসরি স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। তারা বলেন, ‘মলিদার স্বাদে নোনতা ও মিষ্টির মিশ্রণ রয়েছে। আয়োজনের মাধ্যমে বরিশালের ঐতিহ্যকে কাছ থেকে জানার সুযোগ হলো।’
উৎসব পরিদর্শন করতে এসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘ধান, নদী, খাল—এই তিনে বরিশাল বলে আমরা ছোটবেলা থেকে শুনেছি। আজ জানলাম বরিশালকে ইলিশের নিবাসও বলা হয়। বরিশাল সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আতিথেয়তার এক অনন্য ভূখণ্ড। এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের সুন্দর উদ্যোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা যেন একে অপরের কাছে আসি। পড়াশোনায় মনোযোগ দিই, অহেতুক সময় নষ্ট না করে নিজেদের উন্নয়নে মনোযোগী হই। শুধু নিজের জন্য নয়, অসহায় মানুষদের জন্যও ভাবতে হবে—এই হোক আমাদের সত্যিকারের ব্রত।’
শাহরীয়ার স্বাধীন/এআরএস