
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সুদীর্ঘ ছয় বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বইতে শুরু করেছে ভিন্নরকম উত্তাপ। আড্ডা, বিতর্ক আর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেছে টিএসসি থেকে হলের করিডোর। শিক্ষার্থীরা কেউ আনন্দিত, কেউ আবার শঙ্কিত; তবুও সবার মুখে একই সুর— ডাকসুর আমেজে ফের প্রকম্পিত ক্যাম্পাস।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে দশটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন।এবাবের ডাকসুতে লড়ছে- গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসালামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল।
এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলগুলোতে এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। শিবিরের ‘ইনক্লুসিভ প্যানেরের বিপরীতে ছাত্রদল স্থান দিয়েছে তরুণ ও পরীক্ষিতদের। আসন্ন ডাকসুতে শীর্ষ তিন পদসহ সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ নারী শিক্ষার্থী। এছাড়া প্যানেলগুলোতে নারী প্রার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।
১) আবিদ-হামিমের নেতৃত্বে ছাত্রদলের প্যানেল
এই প্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবিদুল ইসলাম খানকে সহ-সভাপতি (ভিপি), কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিমকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।
২) ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা:
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। এই প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
৩) ইমি ও বসুর নেতৃত্বে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলে লড়বেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের একাংশের নেতারা
‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের একাংশের নেতারা। এই প্যানেলে শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) সহ-সভাপতি (ভিপি), ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।
৪) কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল:
এই প্যানেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে আবু বাকের মজুমদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কাদের বাগছাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বাকের বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক। এছাড়া এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে আশরেফা খাতুনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন।
৫) খালিদ-মাহিনের নেতৃত্বে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ ২৫ সদস্যের প্যানেল
প্রথমে এই প্যানেলের নাম ছিল ‘ডিইউ ফার্স্ট’। তবে পরে এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্যানেলে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ। জিএস পদপ্রার্থী হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার। এছাড়া এজিএস পদপ্রার্থী হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহা শারমিন এ্যানি।
৬) উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যে’র পূর্ণাঙ্গ প্যানেল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেত্রী উমামা ফাতেমা ডাকসুতে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে লড়বেন। যেখানে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে মনোনীত প্রার্থী হলেন আল সাদী ভুঁইয়া।
৭) ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে নির্বাচন
পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচন যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত নির্বাচনে ভিপি পদে লড়বেন। আর জিএস পদে লড়বেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান।
৮) ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলে ছাত্র অধিকার পরিষদ
‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের নামে ছাত্র অধিকার পরিষদ ডাকসুতে লড়বে। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। একইসঙ্গে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম।
৯) তিন বাম সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল:
বামপন্থী তিন সংগঠনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল সমর্থিত প্যানেল থেকে এটি ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যের বাইরে আরও নাম পরে যুক্ত করা হবে। প্যানেলে প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে নাঈম হাসান হৃদয়, জিএস পদে এনামুল হাসান অনয় এবং এজিএস পদে অদিতি ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
১০) জুবায়ের-মোসাদ্দেকদের আংশিক প্যানেল
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক এ বি জুবায়ের ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেলে আব্দুর রহমান আল ফাহাদ, আশিক খান সহ ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখগুলো থাকবে বলে জানান তারা। জুবায়ের সমাজসেবা সম্পাদক পদে এবং মোসাদ্দেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে, এছাড়া তাদের প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন আশিক খান এবং আব্দুর রহমান। ভিপি, জিএস, এজিএস না থাকলেও প্যানেলে আরও চমক আসতে পারে বলে জানা গেছে।
স্বতন্ত্রভাবে দুয়েকটি পদে লড়বেন যারা:
ডাকসুতে স্বতন্ত্রভাবে লড়বেন কয়েকজন প্রার্থী। এরমধ্যে ভিপি প্রার্থী এসএম হল ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগ প্যানেলের সাবেক জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন এবং টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ লড়বেন। এছাড়া জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী লড়বেন স্বতন্ত্রভাবে।
এদিকে, এজিএস পদে নির্বাচন করবেন মহিউদ্দিন রনি ও ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক। এরমধ্যে আরমান নির্বাচন করতে পারেন স্বতন্ত্র আংশিক প্যানেল থেকে। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের মনোনীত ভিপি প্রার্থী হিসেবে দর্শন বিভাগ ২০১৯-২০ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে। এদিন থেকে ক্যাম্পাসে কী কী কাজ করতে পারবেন না প্রার্থী, তা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব কাজ করতে পারবেন না তারা।ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী/পক্ষ আজ থেকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না, কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন করতে পারবেন না, এমনকি আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা করা কিংবা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন না। এ ধরনের কার্যক্রম সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ আগস্ট দুপুর একটা পর্যন্ত। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২৬ আগস্ট বিকাল ৪টায়। ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
পরিপূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বেশি ফোকাস থাকবে- আবিদুল ইসলাম খান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পরিপূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বেশি ফোকাস থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলের। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল সহ-সভাপতি (ভিসি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন,ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে। তারা বাহিরের হোস্টেল বা মেসে থাকলে প্রচুর পরিমাণে খরচ হয়। ফলে তাদের অনেক পরিবার আর্থিকভাবে সমর্থন দিতে পারে না। ফলে এসব শিক্ষার্থী ৪-৫টি টিউশন করে চলতে হয়। সারাদিন শুধু টিউশনের পেছনে সময় দিয়ে বেড়ায় শুধু বেঁচে থাকার জন্য। ফলে একাডেমিক পড়াশোনার জন্য সঠিকভাবে সময় দিতে পারেনা। যার কারণে তার ফলাফল ৩.৫০ (সিজিপিএ) এর নিচে নেমে যায়।
আবিদুল ইসলাম খান আরও বলেন, যখন একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল ৩.৫০ এর নিচে নেমে যায়, তখন ভালো কোম্পানিগুলোর চাকরিতে আবেদন করতে পারে না। সুতরাং আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করে তাদের জন্য একটি মানসিক প্রশান্তি আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। যেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোভাবে থাকতে পারে এবং পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে। তাই পরিপূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা এবং ফোকাস থাকবে। এখানে আমরা চিরকালের জন্য থাকতে আসিনি। আমাদের একটি টেবিল ও মাথার ওপর ছাউনি দরকার শুধু। যাতে পড়াশোনা শেষ করে বের হয়ে দেশকে নেতৃত্বে দিতে পারি। আমাদের কোনো বড় বড় ভবন লাগবে না। আমার সামর্থ্য না থাকলে টিনের চাল দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করবো।’
আমাদের প্যানেলে কোনো ‘উপজাতি’ নেই- মেঘমল্লার বসু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাম জোট থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু বলেছেন, আমাদের প্যানেলে কোনো ‘উপজাতি’ নেই, তিনজন আদিবাসী প্রতিনিধি আছেন। বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন ডাকসু নির্বাচনে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে কিংবা যে পরিমাণ পেশিশক্তির ব্যবহার করছে, সংগত কারণেই সেটির সাথে প্রতিযোগিতা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ জনতা কখনো পরাজিত হতে পারেনা। তাই সামনের ডাকসু নির্বাচনে কার্যকরভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আপনাদের সাহায্য আমার অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন,এসকল দাবী আদায়ের পাশাপাশি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচার-বিরোধী গণআন্দোলন ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিদের শক্তিশালী করে তুলতে, সকল গণশত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সুসংহত করতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গণতান্ত্রিক, উদারনৈতিক ও বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ও সুদুরপ্রসারি ভূমিকা রাখতে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা দলে ক্যাম্পেইনার হিসেবে যোগ দিন।
ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বরের পাশাপাশি হালনাগাদ ছবি যুক্ত করার দাবি- বিনা ইয়ামিন মোল্লা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) প্রার্থীর নাম, ব্যালট নম্বরের পাশাপাশি হালনাগাদ ছবি যুক্ত করার দাবি জানান 'ডাকসু ফর চেঞ্জ' প্যানেলের ভিসি প্রার্থী বিনা ইয়ামিন মোল্লা। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ দাবি তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি ডাকসুতে ভোটার সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার এবং প্রতি উনিশ জনে একজন করে প্রার্থী। কেন্দ্রে ২৮ টি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীও রয়েছে। তাই ভোটারদের পক্ষে সবার নাম মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বরের পাশাপাশি হালনাগাদকৃত ছবি প্রকাশ করতে হবে।যদি কোন নারী প্রার্থী ছবি প্রকাশ করতে না চান তাহলে তারা যেভাবে চান সেভাবেই প্রকাশ করতে হবে। গতকাল আমরা চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলেছি। আজকে আমরা লিখিতভাবে দাবি জানাবো।
মুহাইমিনুল ইসলাম/এএ