স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরও দীর্ঘ ৪৫ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গঠিত হয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু)। তবে সম্প্রতি এ নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি করিডোরে ইকসু গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

সভায় ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, নিবন্ধিত সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

প্রাথমিকভাবে ২৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন—সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক হাশেম আলী, সদস্য সচিব ইমদাদুল হক, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায়, ইকসু গঠন আন্দোলনের মুখপাত্র বোরহান উদ্দিন, ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলী, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল হক জায়িম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আজাহারুল ইসলাম, সিআরসি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারহানা আঁখি, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ, কমিউনিকেশন ও মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রতিনিধি শান্ত শিশির, আইন বিভাগের প্রতিনিধি সাকিব চাকলাদার, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীম, তালামিযের সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াদুদ, আহলে হাদিসের সভাপতি শোয়াইব, আহলে হাদিস যুবসংঘের সভাপতি ইয়াসির, সোচ্চার শাখার সভাপতি রাহাত আব্দুল্লাহ, ইবি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আদিবাসী যুম্ম সংগঠনের সভাপতি বাবলু মারমা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট।

এস এম সুইট বলেন, ‘‘ইকসু গঠন সব শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। বহুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু প্রশাসন আইনের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। এবার আমরা সম্মিলিতভাবে আন্দোলন শুরু করেছি। দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ থেকে প্রতিনিধি যুক্ত করা হবে।’’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে আরেকটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছিলেন আট শিক্ষার্থী। তবে ছাত্রসংগঠনগুলোকে অবহেলা ও নারীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে সেখান থেকে ওয়াকআউট করেন সংগঠনগুলোর নেতারা। পরে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে শনিবার নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ গঠিত হয় এবং পূর্বের প্ল্যাটফর্মকেও এতে সংযুক্ত করা হয়।

শাহরীয়ার স্বাধীন/এআরএস