জবিতে ছাত্রদলের ‘সংখ্যালঘু’ মন্তব্যে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদল নেত্রী রুপোন্তি রত্না ও ছাত্রদল নেতা রাসেল হোসেনের মন্তব্যকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সংখ্যালঘু’ আখ্যা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি একজন জবির রাজনৈতিকভাবে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী। সংখ্যা গরিষ্ঠদের কাছে অনুরোধ আমাকে একটু স্পেস দিন প্লিজ‘ এবং ‘তুমি কে, আমি কে, সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু। তুমি চাও, আমি চাই স্পেস-স্পেস।’
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় তারা ঐক্যবদ্ধ। কোনো উসকানিমূলক বা প্রহসনমূলক মন্তব্য তারা মেনে নেবেন না।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার হাবিব বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় রাজনৈতিক সহাবস্থানের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। সম্প্রতি ছাত্রদলের এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘সংখ্যালঘু’ আখ্যা দিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ছাত্রদলকে আহ্বান জানাই, সহাবস্থান বজায় রাখুন, নইলে শিক্ষার্থীদের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।”
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ আতিফ বলেন, “আমি একজন বাংলাদেশী বাঙালি মুসলমান। এই ভূখণ্ডে আমি সংখ্যালঘু নই। চলমান আন্দোলনে শুধু কয়েকটি সংগঠন নয়, বরং পুরো জবির শিক্ষার্থীরা সমর্থিত। ছাত্রদলের বক্তব্যকে আমরা ‘ফ্যাসিবাদী’ মনে করি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চার সমান অধিকার আছে। ছাত্রদল আমাদের ‘স্পেস’ দেওয়ার কেউ নয়।”
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রুপোন্তি রত্না বলেন, ‘এটা আমার ভাষাগত ভুল হয়েছে। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম ছাত্রদল অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে আছে। সবাই ভুলভাবে নেবে এটা বুঝিনি। আমি স্বীকার করছি, আমার ভুল হয়েছে।’
আরেক নেতা রাসেল হোসেন বলেন, “সংখ্যালঘু বলতে চেয়েছিলাম না, এটি ছিল ‘স্লিপ অফ দ্য টং’। আমি বলতে চেয়েছিলাম কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। প্রথমবার বক্তব্য দিয়েছি, তাই এমন হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সোমবার এক মানববন্ধনে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। তারা সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনারও দাবি করেছে।
জেএন/এমএইচএস