জকসু নির্বাচনের দাবিতে শাখা ছাত্র ফ্রন্টের মুক্ত আলোচনা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্র সংসদ (জকসু) এর নীতিমালা বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের দাবিতে ‘জকসু নির্বাচন ২০২৫ : কবে চাই, কেমন চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পাদদেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের শাখা সহ-সভাপতি খাদিজাতুল কুবরা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ।
আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীরা জকসু সংক্রান্ত তাদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবি তোলেন। এছাড়া তারা জকসু নির্বাচনের দ্রুত আয়োজন ও একাডেমিক ক্যালেন্ডারে জকসুর অন্তর্ভুক্তিরও দাবি জানান।
নাট্যকলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আরেফিন সৌরভ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি অর্থায়নে চলে, যার যোগান দেয় দেশের কৃষক ও শ্রমিকসহ সকল স্তরের জনগণ। সেই কারণে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দেশের সকল জনগণের প্রতি। সেজন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিক রাজনৈতিক আদর্শ চর্চা প্রয়োজন এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে পারে।’
নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অর্ঘ শ্রেষ্ঠ দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবী আদায় করার জন্য নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি প্রয়োজন, যা নিশ্চিত হবে জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই এবং প্রশাসন গড়িমসি করলে আমাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে হবে।’
এসময় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে নতুন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে গড়িমসি করছে। এর অন্যতম কারণ হলো প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণী বডিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই। গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন জরুরি, কারণ এটি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার একমাত্র মাধ্যম। এই বছরেই আমরা নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসন এবং সকল লিঙ্গ, জাতি ও ধর্মের শিক্ষার্থীর অধিকার আদায় করতে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ একমাত্র কণ্ঠস্বর হতে পারে। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে এবং কোনো সংগঠন যেন ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী দখলদারিত্বের রাজনীতি পুনঃস্থাপন করতে না পারে, সেজন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। এছাড়া নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সর্বত্র জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা প্রয়োজন, যাতে স্বৈরতন্ত্র কায়েম না হতে পারে।’
জেএন/এমএইচএস

