শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতায় বাকৃবিতে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮
-68b909aa5fc05.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা হয়নি। তাই বর্তমান সংকট সমাধানে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্র বিষয়ক বিভাগের অফিসে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সংকট উত্তরণের একটাই পথ, সেটি হলো শিক্ষার্থীরা যদি এগিয়ে আসতো, আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারতাম। এখন তারা কি চায়, তা বলতে পারবে। আমরা চাইতাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দিই, কিন্তু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না থাকায় বাকি সিদ্ধান্ত তাদের উপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জেলা প্রশাসকের অধীনে আছে। শিক্ষার্থীরা যদি ধ্বংসাত্মক কাজ বা আন্দোলন করে, তার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের। আপাতত আমরা কোনো সমাধানের পথ দেখছি না।’
এসময় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের আলোচনায় ভিসি স্যার বৈঠকের সিদ্ধান্ত লিখিত চেয়েছিলেন, যেখানে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের স্বাক্ষর থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এতে সম্মতি দেয়নি। এ কারণে সিন্ডিকেট হচ্ছে না।’
চলমান আন্দোলনের মুখপাত্র ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতের মিটিংয়ে উপস্থিত সবাই স্বাক্ষর করেছি। তবে প্রশাসনের কথার সাথে আমরা একমত নই। পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনা সাপেক্ষে জানানো হবে। আমাদের প্রথম দুই দফা দাবি প্রশাসন বাস্তবায়ন করলে পুনরায় আলোচনায় বসব।’
গত (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ মিলিয়ে ৪০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বৈঠক শেষে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক জানান, ‘শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে। বুধবার সিন্ডিকেট বৈঠকের পর হল ছাড়ার নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হবে। সাত দিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বহিরাগত হামলার ঘটনাও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয় মন্ডল/এআরএস