Logo

ক্যাম্পাস

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে হত্যা, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

Icon

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২০

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মা-মেয়েকে হত্যা, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুমিল্লায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন এবং তার মা তাহমিনা বেগম। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কবিরাজ ও মাদ্রাসার খাদেম হিসেবে পরিচিত।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার পথে দুর্গাপুর এলাকা থেকে মোবারককে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত তাহমিনা বেগম মেয়ের অসুস্থতার কারণে ঝাড়ফুঁকের জন্য স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় যাতায়াত করতেন। সেখানে মোবারকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর মোবারক নিয়মিত তাদের বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

ঘটনার দিন সকালে মোবারক শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে নিহতদের বাসায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি সুমাইয়াকে ঝাড়ফুঁক করেন। পরে কিছু সময় বাইরে গিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসেন। এ সময় তিনি সুমাইয়ার কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি দেখে ফেলেন তাহমিনা বেগম। তিনি বাধা দিলে মোবারক তাকে কক্ষে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর আবার সুমাইয়ার কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে প্রতিরোধের মুখে তাকেও গলা টিপে হত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, আসামির কাছ থেকে নিহতদের চারটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও বিভিন্ন চার্জার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা কমলা রঙের ব্যাগটিও তার বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এখনই এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে কুমিল্লা শহরের কালিয়াজুরীর ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এমএইচএস 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হত্যা / খুন ধর্ষণ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর