Logo

ক্যাম্পাস

ভোটারের চেয়ে বেশি ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ শিবিরের ভিপি প্রার্থীর

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯

ভোটারের চেয়ে বেশি ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ শিবিরের ভিপি প্রার্থীর

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ভোটগ্রহণের প্রথম দিকে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে ক্যাম্পাসে বহিরাগত থাকার অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব। এছাড়া একটি হলে ভোটারের চেয়ে অন্তত ১৫০টি ব্যালট বেশি পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু দুইটি বিষয়ে আমরা অসংগতি লক্ষ্য করেছি। এক. ছাত্রদলের নেতাকর্মী যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে, তারা ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায়ও বলেছিল, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী বা বহিরাগত থাকতে পারবে না। কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাচ্ছি। দুই. শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়ে অন্তত ১৫০টি ব্যালট বেশি পাওয়া গেছে। ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের।

জাকসু নির্বাচনে মোট সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ও তিনটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো- ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম। আংশিক প্যানেল দিয়েছে- স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ। এছাড়া অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।

সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ইতিমধ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি থাকবেন বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। ভোট কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে রাত থেকেই প্রবেশ গেটে বিশেষ পাহারা বসানো হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা স্পেশাল কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ জন পুলিশ, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আরাফাত ইসলাম বলেছেন, ‘জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবেন।’

নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্ব স্ব হলে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্ব স্ব হলে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে ১১টি ছাত্র হল ও ১০টি ছাত্রী হল মিলে মোট ২১ হলে ২১টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২১ কেন্দ্রে সর্বমোট থাকবে ২২৪ বুথ। তবে হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাই এই দুটি কেন্দ্রে শুধু সংসদ নির্বাচন হবে।

এমবি

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর