জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা ধীরগতিতে চলছে। এবারের ভোট ব্যালট যন্ত্রের মাধ্যমে নয়, হাতে গোনা হচ্ছে। ফলে চূড়ান্ত ফলাফল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতের আগে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

নির্বাচন শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রাত ১০টার দিকে সিনেট ভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে গণনা শুরু হয় এবং পুরো প্রক্রিয়া এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে।

প্রথমে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১টি হলের ভোট গণনা শেষ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় সংসদের (জাকসু) ভোট গণনা শুরু হবে।

১০ নম্বর ছাত্র হলের প্রভোস্ট জানিয়েছেন, ‘হাতেগোনা প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। এভাবে চলতে থাকলে চূড়ান্ত ফলাফল মধ্যরাতের আগে পাওয়া যাবে না।’

তবে নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জানিয়েছিল, ফলাফল শুক্রবার দুপুর নাগাদ জানা যেতে পারে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১,৭৫৯ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন (নারী ৬, পুরুষ ১০) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জাকসু নির্বাচনে পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশ নিয়েছে। তবে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’, ছাত্র ফ্রন্টের একাংশ এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।