দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাত্র ফোরাম’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরামের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ফোরামের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শেখ শাকিল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফোরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। শেখ শাকিল হোসেনকে আহ্বায়ক এবং স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার নাজিম সীমান্তকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান ড. মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ফোরামের উদ্দেশ্য হলো সারাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংযোগ বৃদ্ধি, যৌথ উদ্যোগ ও অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, গবেষণার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টিসহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিগত মতামত উপস্থাপন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নেতৃত্ব চর্চা উৎসাহিত করা।

আগামী দুই বছরের জন্য আহ্বায়ক কমিটি ফোরামের সাংগঠনিক কাঠামো, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, সদস্য সংগ্রহ ও সাংগঠনিক বিস্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন– যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. ওমর সফি রাফসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. জুয়েল রানা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. জানে আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. শাহরিয়ার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আরমান হোসেন ইমন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী আহাদ।

কার্যকরী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মারুফ হাসান, স্মৃতি রানী বর্মণ, সাইব আল ইহতিসান, মোছা. আছমা খাতুন সাথী, মোসা. আফছানা আক্তার, সামিয়া ইফফাত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আব্দুল বারিক, শাকিল হোসাইন, সুমনা ইসলাম সিনরাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোরহান উদ্দিন, সুলতানা আক্তার, মুবাররাত আহবাব, যাছিয়া মারিয়াম যুহা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ. এম. অভি, উম্মে ফাহমিদা সায়মা, এইচ এম মাহির ফয়সাল মুরাদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার মাসুম বিল্লাহ্ তূর্য ও মো. বিল্লাল গণি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরাত জাহান স্পৃহা ও মো. হোসেনুজ্জামান।

অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সদস্যরা হলেন– জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ তাসলিমা জাহান মুন, বেহেস্তী আলতাফ, মো. রাহিম; নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আরিফুল হাসান রাকিব, এ কে এম তাকি হাসান; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৌসিফ আলম খান, মো. হাবিবুর রহমান বাপ্পি; গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল ইসলাম, মুবিনুল হক; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের শাহরিয়ার রহমান, আলফা জাহান; গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাশিদুল হাসান রাকিব; শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির রিফাতুজ্জামান রিফাত, শিপার মাহমুদ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. বিজয় আলী, মো. শুভ হাসান।

কলেজ পর্যায়ের সদস্যরা হলেন– ঢাকা কলেজের সুজন আহমেদ, কামরুল হোসাইন; ইডেন মহিলা কলেজের মাজে হামিজাতুন সিনথী, সাদিয়া সিরাজী; সরকারি বাঙলা কলেজের আল জাবের সান; সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের আওলাদ জিসান; বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের তাসলিমা আক্তার, আয়শা সিদ্দিকা রিফাহ্; সরকারি তিতুমীর কলেজের মো. শাহাদাত হোসেন, তাহমিনা আফরোজ রুপা; শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সজীব শেখ অর্নব।

ফোরামের আত্মপ্রকাশ দেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এমএমআই/এমএইচএস