কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইন্সটিটিউট চালুর সুপারিশ

কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১০
-68c82c61acdd9.jpg)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে নতুন ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইন্সটিটিউট চালু ও ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানসহ আসনসংখ্যা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
সভায় ল্যাব বেইজড বিভাগগুলোর জন্য ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোর জন্য ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
নতুন ১৮টি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো– পরিবেশ বিজ্ঞান, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো– সমাজবিজ্ঞান, জনসংখ্যা বিজ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো– ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং দর্শন। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো– পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো– বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, রাসায়নিক প্রকৌশল, পুরকৌশল এবং যন্ত্রকৌশল। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো অপরাধবিদ্যা।
পাশাপাশি চারটি নতুন ইন্সটিটিউট চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এগুলো হলো– আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং অ্যাকাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। প্রতিটি ইন্সটিটিউটে পরিচালক, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক এবং ক্লিনারের পদসমূহের কাঠামোও নির্ধারণ করা হয়েছে।
মিটিংয়ে ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাবনাসহ প্রতিটি বিভাগের ন্যূনতম ২৬ জন শিক্ষক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘মিটিংয়ে এসব বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যেকোনো বিভাগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে ইউজিসি অনুমোদন প্রয়োজন। এছাড়া আসন সংখ্যা কমিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করার নির্দেশনা ইউজিসি দিয়েছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিস্তারিত প্রকাশের আগে রেজ্যুলেশন পাশ হতে হবে।’
এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান এবং গবেষণামূলক কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এমএইচএস