নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪০

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে ৩৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে শিক্ষক ১৯ জন, বাকিরা কর্মকর্তা–কর্মচারী।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ নোটিশ জারি করা হয়। এছাড়া শোকজপ্রাপ্তদের আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের মো. মুশফিকুর রহমান, নুসরাত শারমিন তানিয়া, ড. মো. কামাল উদ্দীন; সঙ্গীত বিভাগের ড. মো. জাহিদুল কবীর, ড. মুশাররাত শবনম; ফোকলোর বিভাগের ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ; চারুকলা বিভাগের নগরবাসী বর্মণ ও মাসুম হাওলাদার; দর্শন বিভাগের প্রধান মো. তারিফুল ইসলাম এবং মো. খাইরুল ইসলাম।
আরো রয়েছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ড. মার্জিয়া আক্তার, ড. মো. সাহাবউদ্দীন, ড. মো. মাহবুব হোসেন; হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মাসুদ রানা ও অন্তরা মাহবুব; হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম; কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. সেলিম আল মামুন; ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ফারজানা খানম এবং ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. তুহিনুর রহমান।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে আছেন, সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, প্রকৌশল দপ্তরের উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল হালিম,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মাহবুব ইলাহী, প্রকৌশল দপ্তরের কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান, ইইই বিভাগের পারসোনাল অফিসার রেবেকা সুলতানা, ইংরেজি বিভাগের পার্সোনাল অফিসার রোজিনা বেগম, হল সুপার সোহেল রানা, ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মমতাজ বেগম এবং উপরেজিস্ট্রার (স্টোর) নাজমুল হুদা।
এদের মধ্যে আরো রয়েছেন, সহকারী প্রকৌশলী জান্নাতুন নাঈম, শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. ওমর ফারুক সরকার, উপ–পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা, সহকারী পরিচালক (অর্থ) এস এম কাউসার আহমেদ, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নির্মল চন্দ্র সাহা, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক রাধেশ্যাম, সঙ্গীত বিভাগের ডেমোনস্ট্রেটর মো. মশিউর রহমান, সিনিয়র প্লাম্বার মোহাম্মদ আসাবুল হক এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পার্সোনাল অফিসার খালেদা জেসমিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সিন্ডিকেট সদস্যদের সমন্বয়ে ৩টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একটি প্রশাসনিক, একটি একাডেমিক এবং অন্যটি ক্যাম্পাস–সংক্রান্ত ঘটনার অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করে। এসব কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান এবং অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার।
মো. সাইফুল ইসলাম/এএ