বিসিএস পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত সহায়তায় বাকৃবি ছাত্রশিবিরের ফ্রি বাস সার্ভিস

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০১
-(42)-68cb7625ae51c.jpg)
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রশিবির ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ইউনূস বিন হোসাইন খান।
সংগঠনটির প্রচার বিভাগ প্রেরণকৃত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বাস বরাদ্দের জটিলতা নিরসন ও পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সংগঠনের নিজস্ব উদ্যোগে মোট চারটি বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রের আলোকে সুবিধামতো রুটের বাসে করে যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবেন। বাসগুলো হেলিপ্যাড থেকে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ছাড়বে। মোট তিনটি রুটে বাস চলাচল করবে। রুট-১-এর ক্ষেত্রে বাস ক্যাম্পাস থেকে বাইপাস হয়ে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। রুট ২ এর ক্ষেত্রে বাস ক্যাম্পাস থেকে বাইপাস হয়ে চরপাড়া পর্যন্ত যাবে। রুট-৩-এর ক্ষেত্রে বাস ক্যাম্পাস থেকে টাউনহল পর্যন্ত যাবে। প্রথম দুটি রুটে একটি করে বাস চলবে এবং রুট-৩-এ দুটি বাস চলাচল করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে জানানো হয়, বাসের প্রথম চারটি সারি নারী পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ইউনূস বিন হোসাইন খান বলেন, গতকাল বাকৃবি ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি দল পরিবহন বিভাগের পরিচালকের সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর ব্যাপারে আলোচনা করেছে। যার প্রেক্ষিতে আজ ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে অনুমতির জন্য যাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত বন্ধ তাই বাস সার্ভিস চালু করায় প্রশাসনিক বাধা রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস সার্ভিস দিতে পারবে না বলে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্রশিবির বাকৃবি শাখার এই আয়োজন। বাস বরাদ্দের জটিলতা নিরসন ও ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থের জন্য ছাত্রশিবির বাকৃবি শাখা নিজস্ব উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় যদিও বাস সংখ্যা কম বা অপর্যাপ্ত। তবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা করেছি।’
- জয় মন্ডল/এমআই