‘দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লড়াই হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নয়’
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, আমাদের দেশে এখনও মৌলিক শিক্ষা নেই এবং নিরক্ষরতা দূর হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই হয়, কখনও কখনও রক্তক্ষয়ও ঘটে, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো লড়াই হয় না।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের দু’দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, দেশে এখনও ২৬ শতাংশ মানুষ সাক্ষর নয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো সংগ্রাম নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইংরেজি ভাষার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে গেছি, অনেক সময় বাংলা ভাষায় জিনিস প্রকাশ করতে পারি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ৭০টি বিভাগের মধ্যে অর্ধেকের নাম ইংরেজিতে, যদিও বাংলা অক্ষরে লেখা। এ বিষয়কে তিনি আদর্শ ও নৈতিক দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসুরুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত বক্তা ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ প্রদানসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মো. রকিবুল ইসলাম (মেধাক্রম ১) এবং ‘সি’ ইউনিটে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান (মেধাক্রম ৩৬) পুরস্কৃত হন।
উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। থিওলজি ও কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, সময়ের সদ্ব্যবহার করেই অগ্রগতি সম্ভব। পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানসহ বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীন/এআরএস

