ডাকসু নির্বাচনে ১১ অনিয়মের অভিযোগ ছাত্রদলের
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে অসঙ্গতি ও অনিয়মের ১১টি অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদপ্রার্থী তানভীর বারী হামীম ও এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, প্রচারণা চলাকালেই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, আমরা তাদের ছেড়ে যাব না। শিক্ষার্থীদের দেওয়া সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থেই আজ আমরা সমবেত হয়েছি। সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে নানান অনিয়ম ও অসঙ্গতি স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের উৎসব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের উত্থাপিত ১১ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—
১. ভোটার উপস্থিত হওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর দেওয়া ও নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ব্যালট সরবরাহসহ জালিয়াতির ঘটনা।
২. ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকা এবং ব্যবহৃত, বাতিল ও ফেরত দেওয়া ব্যালট পেপারের হিসাব প্রকাশ না করা।
৩. ব্যালট ছাপাখানার নিরাপত্তাহীনতা ও নকল ব্যালট ব্যবহার করে কারচুপির অভিযোগ।
৪. ভোট গণনার সফটওয়্যার যাচাইয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের না জানানো।
৫. প্রার্থীদের প্রস্তাবিত পোলিং এজেন্ট বাদ দিয়ে প্রশাসনের বাছাই করা এজেন্ট নিয়োগ।
৬. সময়মতো আইডি কার্ড সরবরাহ না করায় অনেক এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারা।
৭. ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রার্থীদের অসুবিধায় ফেলা।
৮. পোলিং অফিসার নিয়োগে অস্পষ্টতা এবং অনেকের নির্বাচনী আচরণবিধি না জানা।
৯. নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড সদস্যদের বিতর্কিত ভূমিকা।
১০. ভোটগণনায় এজেন্টদের নিষ্ক্রিয় রাখা ও রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর না নিয়ে গণনা শেষ করা।
১১. অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার, মার্কার পেনের পরিবর্তে বলপেন দিয়ে ভোট গ্রহণ এবং আঙুলে অস্থায়ী কালি ব্যবহারের কারণে একাধিক ভোট দেওয়ার সন্দেহ।
ছাত্রদল অভিযোগ করে আরও জানায়, আইন ও বিধি অনুসারে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনিয়মের বিষয়ে অবহিত করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করা হয়েছে।
তাদের দাবি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ডাকসুর ইতিহাসে একটি প্রশ্নবিদ্ধ অধ্যায় যোগ হলো। তারা আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পথে ফিরে এসে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করবে।
এমএমআই/এমএইচএস


