Logo

ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

Icon

শাহরিয়ার স্বাধীন, ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৩

শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের পূর্তিতে তার কাজের সফলতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা জরিপ চালিয়েছে। জরিপে উপাচার্য ১০ এর মধ্যে গড় ২.৪৫ পেয়ে ‘অকৃতকার্য’ হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে ইবি সংস্কার আন্দোলন এই জরিপের ফল প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করে।

জরিপটি ১৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইন ও অফলাইনে পরিচালনা করা হয়।

জরিপ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে তার এক বছরের কাজের ভিত্তিতে ১০ নাম্বারের চারটি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করেছেন। এতে ১-৩ নম্বর ‘খারাপ’, ৪-৬ ‘মোটামুটি’, ৭-৮ ‘ভালো’ এবং ৯-১০ ‘অতি ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। উপাচার্য সর্বমোট ৩২১৬ নাম্বার পান, যা গড়ে ২.৪৫ এবং ‘খারাপ’ ক্যাটাগরিতে পড়ে।

শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এক বছরের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ১০টি বিষয় মূল্যায়ন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সেশনজট নিরসন, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা, ছাত্র সংসদ গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণ, আবাসিক হলের খাবার মান, গবেষণা বাজেট বৃদ্ধি, মেডিকেল সেন্টারের সেবা, নারী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা।

জরিপকারীরা জানান, দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী উপাচার্য সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অনেক শিক্ষার্থী প্রশাসনকে ‘অথর্ব প্রশাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তারা বলেন, ‘উপাচার্য যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে তার দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন নেই। আমাদের আশা তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেবেন এবং সমস্যার সমাধান করবেন।’

জানা যায়, জরিপে ৮৭৬ জন আবাসিক এবং ৪৩৬ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষাবর্ষভিত্তিক অংশগ্রহণের মধ্যে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৬ জন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮০ জন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮১ জন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৪৫ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ২৯৩ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ২৩৪ জন এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৩৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংস্কারের জন্য ১৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং ‘ইবি সংস্কার আন্দোলন’ নামে একটি প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনকে আগামীকাল সতর্কতামূলক হলুদ কার্ড দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর