ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের দিনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) শিক্ষকদের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতের জন্য ১২ দফা দাবি জানিয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য সুষম ও মর্যাদাসম্পন্ন বেতন কাঠামো প্রবর্তন, পদোন্নতি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করা, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র ও উচ্চতর বেতন স্কেল প্রবর্তন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে রোববার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, বাংলাদেশের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকেরা পেশাগত অবমূল্যায়ন, আর্থিক সংকট ও পদোন্নতিতে বৈষম্যের শিকার। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ পান, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরাও বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সরকারি শিক্ষকের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।
ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, "শিক্ষা ও গবেষণার মূল কারিগর হলেন শিক্ষক। কিন্তু তারা আর্থিক অনটন ও পেশাগত অবমূল্যায়নের কারণে হতাশ। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক সমাজের অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।"
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, প্রশাসনিক কাজ কমিয়ে শিক্ষকদের প্রকৃত শিক্ষাদানে মনোনিবেশের সুযোগ, গবেষণা ভাতা প্রদান, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য আর্থিক প্রণোদনা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির নিশ্চয়তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কামরুল আহসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সোহাগ আউয়াল সহ ইউট্যাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষকরা আশাপ্রকাশ করেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এমএমআই/এমএইচএস

