সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।

রোববার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাতে ইউটিএল-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে ইউটিএল নেতৃবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে- সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে তারা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ বাধা প্রদান করে। শিক্ষক-কর্মচারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউটিএল নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষক সমাজের প্রতি এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের হামলা তাদের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে এবং দেশে আদর্শ জাতি গঠনের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে।

বিবৃতিতে ইউটিএল নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষকগণের যৌক্তিক দাবি অবিলম্বে মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষক সমাজের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই রাষ্ট্র শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করে একটি আদর্শ জাতি গঠনে উদ্যোগ নেওয়া। অনেকগুলো কমিশন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষা সংস্কারে কোনো কমিশন পর্যন্ত হয়নি। শিক্ষকগণকে যথাযোগ্য মর্যাদা না দিয়ে আজ তাদের ওপরই লাঠিচার্জ করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউটিএল নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনারা আপনাদের ন্যায্য দাবিসমূহ শান্তিপূর্ণ উপায়ে উপস্থাপন করুন, যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। এই সমস্যার গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক সমাধান প্রত্যাশা করেন ইউটিএল নেতৃবৃন্দ।

জেএন/এমবি