Logo

ক্যাম্পাস

জামায়াত-শিবির সবচেয়ে বেশি গুম ও নির্যাতনের শিকার : সাদিক কায়েম

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৬

জামায়াত-শিবির সবচেয়ে বেশি গুম ও নির্যাতনের শিকার : সাদিক কায়েম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। শিবিরকে হত্যা করার বৈধতা দেওয়া হয়েছিল।’

সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন ও তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী দেশে স্বৈরাচারী হাসিনার ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করেছিল। মুক্তির জন্যই আমরা বিগত ১৬ বছর লড়াই করেছি। কিন্তু সমাজের একাংশ— বিশেষ করে কিছু বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষক— কৌশলে শেখ হাসিনার জুলুম-নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের ভেতরে হিপোক্রেসি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের 'শিবির ট্যাগ' দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। এই ক্যাম্পাসেই শিবির ট্যাগ দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়। শিবির বললেই অনেক বুদ্ধিজীবী চুপ হয়ে যেতেন— এটাই তাদের ভণ্ডামি। ২০১৩ সালের শাহবাগ ও কিছু বুদ্ধিজীবীর ভূমিকায় ফ্যাসিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল।

গুম কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ডাকসুর ভিপি বলেন, ‘দেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি গুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। বিএনপির পর পৃথক সংগঠন হিসেবে শিবিরই সবচেয়ে বেশি গুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের অনেক ভাই এখনও গুম আছেন।’

শিক্ষা ও চিন্তার প্রসারে বিতর্কের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আলোচনা ও পর্যালোচনা অব্যাহত রাখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখনো আমরা পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ইনস্টিটিউটে রূপ দিতে পারিনি। পাশের দেশ নেপালও শিক্ষায় অনেক এগিয়ে গেছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা, জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠন করা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরও এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে আশা রাখি।’

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল হিসেবে ইতিহাস বিভাগ চ্যাম্পিয়ন এবং সরকারি দল হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রানার্স-আপ হয়। ফাইনালে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের রুকসানা মিতু।

‘জকসু নির্বাচনে এই সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দিবে’ বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনাল বিতর্কে মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলে তিনজন করে বিতার্কিক ছিলেন। প্রতিযোগিতা ট্যাব ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিটি দল তিনটি রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাদিক কায়েম ছাত্রশিবির

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর