ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণের মূল সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্থির থাকলেও কেন্দ্রগুলোতে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোট চলছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব অধ্যাপক আরিফুল হক জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর সময়কে কেন্দ্র করে কোনো বিলম্ব হয়নি। সকাল ৯টায় পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে ব্যালেট বক্স প্রদর্শনসহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া আড়াই শতাধিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ভোট কেন্দ্রগুলোকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে জনসমাগম পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়। শিক্ষার্থীরা পরিচিত ও অচেনা সহপাঠীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন এবং ভোটকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপন করছেন।
ভোটগ্রহণ শেষে দুই ধাপে গণনা করা হবে। প্রথম ধাপ পরিচালনা করবে নির্দিষ্ট ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় ধাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ভোট শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা হবে এবং সব কেন্দ্রের ফলের পর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটোরিয়ামে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কড়া করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে সেনাবাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬, যার মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্দেশনা মোতাবেক সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন। বিকেল ৪টার মধ্যে সবাইকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।’
ভোটগ্রহণ শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা স্পষ্ট। পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ এজাজুল হক বলেন, ‘চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। ভোটের দিনেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশা করি।’
এমএইচএস

