জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান পাঁচটি ব্যাচের (১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০তম) শিক্ষার্থীরা বিশেষ বৃত্তির আওতায় থাকছেন। তবে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্থাৎ ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশেষ বৃত্তির আওতা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১৫তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী সোহান প্রামানিক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘১৫তম ব্যাচকে বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কয়েক মাসের মধ্যে এরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাবে। জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই কয়েক মাসের বৃত্তি এদের দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান করছি। আশা করি জবি প্রশাসন এই অসঙ্গত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।’
বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১৫তম ব্যাচ) আরেক শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমন লিখেছেন, ‘প্রতিটি আন্দোলনে ১৫তম ব্যাচ সবার আগে রাজপথে ছিল। জবিয়ানের স্বার্থে এক চুলও ১৫ ব্যাচ ছাড় দেয়নি। সুতরাং ১৫তম ব্যাচকে ভুলেও বৃত্তির আওতার বাইরে রাখার চিন্তা করবেন না। না হলে আবার আন্দোলন শুরু হবে, যা দাবানলের আকার ধারণ করবে, এবং পরবর্তীতে চাইলেও সেই আগুন থামানো সম্ভব হবে না।’
ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১৫তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন, ‘যদি মাস্টার্সে অধ্যয়নরতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে তাদেরকে আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হবে? প্রশাসন কি তাদেরকে হলের ব্যবস্থা করেছে? যদি না দিয়ে থাকে, তবে তাদেরও তো মেসে থাকতে হচ্ছে এবং মেস ভাড়া দিতে হচ্ছে। ১৫ ব্যাচকে আবাসন বৃত্তির বাইরে রাখার কোনো সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিশেষ বৃত্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পাঁচটি ব্যাচই এই বৃত্তির আওতায় থাকবে। সেক্ষেত্রে ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ ব্যাচ অগ্রাধিকার পাবে।’
১৫তম ব্যাচ বৃত্তির আওতায় থাকবে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় তারা বৃত্তির আওতায় নেই, তবে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।’
জেএন/এমএইচএস

