ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি একাডেমিক ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে স্থাপিত ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এ বছর রাকসুর ২৩টি পদে ২৪৭ জন, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। সহ-সভাপতি পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জন এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ১১টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আলোচিত প্যানেলের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে গঠিত ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মনোনীত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’ প্রভৃতি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজিরবিহীন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি। সহায়ক হিসেবে রয়েছেন বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যরা। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ভোটারদের প্রবেশে একাধিক স্তরের যাচাই প্রক্রিয়া রাখা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ভোটের দিন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং সাইবার স্পেসে অপপ্রচার প্রতিরোধে দুটি বিশেষ সাইবার টিম কাজ করছে।
নির্বাচন শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এমএইচএস

