হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। অতিসত্বর বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়ন্ত্রণ করেছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে রোড-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভাবে তাদের লোক ঢোকিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বাংলাদেশ থেকে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন যদি নিষিদ্ধ না হয়, এ দেশের তৌহিদী জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নেবে না। ‘জেন-জি’ যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে, তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না; বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার ও প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। তারা মুসলিম মা-বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছে, ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোনো সংগঠন নয়; তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে নেমেছে।

এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন/এমআই