ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্ত নিয়ে মন্তব্য, দুই শিক্ষার্থীকে শোকজ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৬
					গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার তদন্ত নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় দুই শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শোকজপ্রাপ্তরা হলেন— জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ইবি শাখার সেক্রেটারি মো. এস এম শামীম ও ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখা সভাপতি ইসমাঈল হোসেন রাহাত।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্বাক্ষরিত পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে তাদের শোকজ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর ‘প্রতীকী কফিন মিছিল’ শেষে আয়োজিত সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, ‘হত্যাকারীর বিষয়ে প্রশাসন অবগত থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল হবে বলে তাদের গ্রেপ্তারের অনুমতি দিচ্ছে না।’
এ বক্তব্যে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বক্তব্যের উৎস ও কারণ ব্যাখ্যা করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজপ্রাপ্ত ছাত্রনেতা ইসমাঈল হোসেন রাহাত বলেন, ‘আমি পূর্বের বক্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করেছি। সোর্স জানা ছিল না। আমি বলতে চেয়েছি—এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে আমরা সহযোগিতা করব।’
শোকজ নোটিশ পাওয়ার পর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রাহাত লেখেন, ‘আমি বিচলিত নই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি ও সাজিদের বিচারের দাবিতে কখনও পিছু হটব না, ইনশাআল্লাহ।’
অন্যদিকে, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি এস এম শামীম বলেন, ‘আমার স্লিপ অব টাং হয়েছে, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে কেউ যদি আমার বক্তব্য উদ্ধৃত করে, সেটা তার দূরদর্শীতার অভাব।’
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে পাওয়া ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু শ্বাসরোধজনিত শ্বাসকষ্টে হয়েছে এবং এটি হত্যাজনিত মৃত্যু। গত ১৭ জুলাই শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাজিদ ছিলেন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী; তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে।
এরপর থেকেই সাজিদ হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন। হত্যার ১০০তম দিন উপলক্ষে আয়োজিত প্রতীকী কফিন মিছিলে এমন বক্তব্য দেন উক্ত দুই ছাত্রনেতা।
এআরএস

