বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১৮
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ স্থানীয় ডাক প্লেগ ভাইরাস ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যের ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন তৈরি সম্পন্ন করেছে। সম্প্রতি ওই ভ্যাকসিনের সিড প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এলডিডিপি পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল এবং এলডিডিপি সিটিসি ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মুরগির পর দেশে সবচেয়ে বেশি পালন করা হয় হাঁস, যার মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেশি। তবে আগে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এখন কমে গেছে। লাইভস্টক সেক্টরে জাত উন্নয়ন ও ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন। যথাযথ বিনিয়োগ ছাড়া এই খাতকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, জংলি হাঁসের রোগ প্রতিরোধী জিন সংযুক্ত করে আরও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান জানান, ‘বাংলাদেশে হাঁসের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার। দেশের মোট জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ১.৮১ শতাংশ, আর কৃষিজ জিডিপিতে ১৬.৫৪ শতাংশ। দেশের গ্রামীণ কৃষক ও ভূমিহীন নারীদের প্রায় ৮০ শতাংশ হাঁস পালনের সঙ্গে যুক্ত। তবে এই খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে ডাক প্লেগ নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগের কারণে। ভাইরাসটির সংক্রমণ হার ৫২.০৮ শতাংশ, মৃত্যুহার ২৯.৬২ শতাংশ এবং কেস ফ্যাটালিটি হার ৫৬.৮৬ শতাংশ।’
এআরএস

