বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের মাঝে পরিচিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক।

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে তিনি ‘স্বপ্নদ্রষ্টা : বাংলাদেশের পথের দিশারী এক মহানায়ক জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক একটি তথ্যবহুল সংকলিত বুকলেট প্রকাশ করেন। এরপর ওই বুকলেটের পাঁচ শতাধিক কপি বিতরণ করেন ছাত্রদল নেতা তারিক।

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের মাঝে, হাকিম চত্বর, কলা ভবন, মল চত্বর, বাণিজ্য অনুষদসহ বিভিন্ন হলের সামনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে। বুকলেটটির মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী।

ভিন্নধর্মী এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ‘একদিন পথশিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণের সময় মনে পড়ে গেল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভরসার স্থল। তখনই চিন্তা করি, দূরদর্শী এই স্বপ্নদ্রষ্টাকে নিয়ে লেখা একটি বুকলেট যদি গণমানুষের হাতে তুলে দিতে পারি, তবে ভালো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মভিত্তি যার দূরদর্শী চিন্তাধারার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেই মহানায়ককে জনমানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।’

তারিক জানান, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। মরহুম রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ স্যারের লেখায়ও বারবার উঠে এসেছেন তিনি। তবে বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শেখ হাসিনা সরকার জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা বন্ধ করে রেখেছিল। তাঁর ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল থেকে শুরু করে তাঁর স্মৃতি অবদমিত রাখার কোনও প্রচেষ্টা তারা বাদ দেয়নি। আশা করি, এই বুকলেটের মাধ্যমে জেনারেশন জেড ও সাধারণ মানুষের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে শহীদ জিয়াকে তুলে ধরতে পারব।

বুকলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, আবুল কাসেম প্রধান, রকিবুল হাসান, জুল হোসেন, সদস্য সাব্বির আহম্মেদ, কর্মী শাহ আলম, তানভীর হোসেন, রিয়া বিশ্বাস ও নাজমুস সাকিব; সূর্যসেন হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন ও কর্মী তারিফউল্লাহ, আরেফিন সুলতান; বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সদস্য মো. আয়াজুর রহমান, সামি মাহমুদ সাদাফ, মাহমুদুল হাসান ও সাফওয়ান সাব্বির; শেখ মুজিবুর রহমান হলের সদস্য সিয়াম রহমান, তাহমিদ হুমায়ুন তানিম ও কর্মী যাররাফ রহমান রাশহা; কবি জসিম উদ্দিন হলের সদস্য মাহফুজ ইকবাল; হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সদস্য সাখাওয়াত আনসারী সৈকত; ফজলুল হক মুসলিম হলের সদস্য হামিম তাশরিফ আবিরসহ বিভিন্ন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব মেহেদি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নূর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ফজলে রাব্বি রাদ, মুজতবা তাহমিদ মুবিন, মো. নাজমুল হক, মো. তানভিরুল ইসলাম; মহানগর দক্ষিণের মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. ফাহাদ হোসেন; মহানগর পূর্বের মো. জাহিদ হাসান, মো. সোয়াইবুল ইসলাম রেম্পি, মুন্তাসির হাসনাত; মহানগর পশ্চিমের মো. মাহমুদুল হাসান; তেজগাঁও কলেজের রিমন রায়হান; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব হোসেন সৌরভ, আরাফাত হোসেন, ওসমান গনি, জামান মোল্ল্যা, শফিকুল ইসলাম বাবু, রুমান বেপারী ও তোফায়েল মুন্সি প্রমুখ।

• এমএমআই/এমআই