নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:১০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগ, বিভাগের স্থবিরতা দূরীকরণ এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান দেন তারা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, ‘কালই বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।’
অবস্থানকারীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন, যার মধ্যে ছিল—‘বিভাগে সভাপতি নেই, বিভাগ চলবে কিভাবে?’, ‘রাঘববোয়ালরা বাইরে কেন?’, ‘নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগ চাই’, ‘তদন্ত কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ’, ‘শিক্ষকের শাস্তির পুনর্বিবেচনা চাই’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের বর্তমান সভাপতি মো. মেহেদী হাসান জুলাই বিপ্লববিরোধী অবস্থানের কারণে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এতে এক সপ্তাহ ধরে বিভাগের কার্যক্রম স্থবির রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিভাগের সভাপতি নিজ বিভাগ থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তারা আরও অভিযোগ করেন, রাঘববোয়ালদের বাইরে রেখে ‘চুনোপুঁটিদের’ বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং শাওন নামে দুইজন শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
বিভাগে বর্তমানে মোট ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন—সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি মো. মেহেদী হাসান (সাময়িক বরখাস্ত), সাহিদা আখতার (কর্তব্যরত ছুটিতে), বিলাসী সাহা, বনানী আফরীন (শিক্ষা ছুটিতে) এবং প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মারুফ মীম (সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত)। শিক্ষক সংকটের কারণে বিভাগের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ‘সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের বিষয়ে উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লববিরোধী অবস্থানের কারণে বিভাগের বর্তমান সভাপতি মো. মেহেদী হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন/এআরএস

