গবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা চালু করতে ব্যর্থ প্রশাসন
শরিফুল ইসলাম রিফাত, গবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৪০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সেবা চালু করতে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি ও একাধিক ঘোষণা ও নির্ধারিত তারিখ পার হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চলাচল শুরু হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর প্রথমবারের মতো মানিকগঞ্জ ও চন্দ্রা রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সেবা শুরু করার কথা থাকলেও নির্ধারিত ভাড়া শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। ফলে প্রশাসনের দাবি, পর্যাপ্ত আবেদন না পাওয়ায় বাস চালু করা যায়নি।
২০২২ সালের অক্টোবরে একই রুটে বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে ২০২৪ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য দুটি ৫২ আসনবিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস কেনা হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরিবহন সেবা কাগজে-কলমেই থেকে গেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মানিকগঞ্জ রুটের মাসিক ভাড়া ধরা হয় ১,৮০০ টাকা এবং প্রথমবার অগ্রিম ৪,৫০০ টাকা। চন্দ্রা রুটে মাসিক ভাড়া ১,২০০ টাকা, অগ্রিম ৩,০০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ভাড়া অযৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাসান বলেন, ‘মানিকগঞ্জ রুটের ভাড়া মাসে ১,২০০ টাকা হলে অনেকেই আবেদন করত। আমরা মাসে গড়ে ২০ দিন যাতায়াত করি। ক্লাস বন্ধ বা অসুস্থতার দিনেও ভাড়া দিতে হবে, এটা অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে মুনাফা নয়, শুধু তেলের খরচ উঠলেই যথেষ্ট।’
চন্দ্রা রুটের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম রোহিত বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া, সময়ের অসুবিধা ও অনিশ্চিত সেবার কারণে আমি আবেদন করিনি। হঠাৎ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় আস্থা পাইনি।’
পরিবহন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন বিশ্বাস জানান, ‘উপাচার্য স্যার শিক্ষার্থীদের দাবিতে বাস চালুর অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে মাত্র ৫০-৫৫ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। শিক্ষার্থীরা ভাড়া বেশি বলে জানিয়েছেন, বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া কমানো যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘২ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করায় বাস চালু করা সম্ভব হয়নি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এমএইচএস

