গত ২১ নভেম্বর ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে পরদিন শনিবার আরও তিন দফা ক্ষুদ্র ভূমিকম্প অনুভূত হলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ ঢাকায় বড় ধরনের ভূকম্পনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ২৩ নভেম্বর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সকল ক্লাস অনলাইনে গ্রহণ এবং চলমান পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। তবে আজ ২৭ নভেম্বর বিকেল চারটার পর রাজধানীতে আবারও মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলাম জানান, আজ সন্ধ্যায় সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর চলমান পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হবে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো পূর্ববর্তী পরিদর্শনে নিরাপদ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং প্রয়োজনে আবারও বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের দাবি, ২১ নভেম্বরের প্রধান ভূমিকম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভবনে যে ফাটল দেখা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গভাবে পরীক্ষার পরই ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় চালু করা উচিত। শিক্ষার্থীদের অনেকে সম্ভাব্য বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে বলে মতামত দেন। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে জানানো হয় আগামীকাল থেকে নিয়ম অনুযায়ী সকল কার্যক্রম চলবে।
টিকে/এসএসকে

