পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্যের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে কর্মচারী বহিস্কার
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:০৭
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ঐ কর্মচারীর নাম মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিএসি) দপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাহফুজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিএসি) এর বিভিন্ন ট্রেনিং এবং ওয়ার্কশপের প্রশিক্ষকদের সম্মানী দিতেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের ওয়ার্কশপের সম্মানির দেওয়ার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হলে দেখা যায় তারা সম্মানি পাননি কিন্তু রেজিস্ট্রার খাতায় দেখা যায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ সম্মানি বাবদ ৩৮ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হলে দেখা যায় মাহফুজুর রহমান উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নকল করে সম্মানি স্লিপের মাধ্যমে ৩৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি উনি (মাহফুজ) মোটামুটি ভাল মানুষ। আমাদের কিছু অতিথিদের সম্মানী দিতে বিলম্ব হয়, মাহফুজ সাহেব নিজেই সকলকে সম্মানী বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন। তবে কিছু অতিথি তাদের সম্মানী যথাযথ সময় না পেলে মাহফুজ সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বিষয়টা এখন আমার দায়িত্বে নেই। এখন প্রশাসনিকভাবে তদন্তনাধীন রয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান-এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
আবদুল্লাহ আল মামুন/এসএসকে

