জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবিপ্রবির সমঝোতা স্বাক্ষর
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৩
শিক্ষা ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলার ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ সমযোতা স্বাক্ষরিত হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম আব্দুল-আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাসানরি হানাওয়া সমযোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। এছাড়াও পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধা শূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি কারণ আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে চাই। আমরা যোগদানের পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পাবিপ্রবি এবং পাবনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে পরিচিত করতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পাবনাবাসী উপকৃত হবেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ওই এলাকার পরিবেশ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা পাবনাবাসীকে নতুন সংস্কৃতি (ডাইমেশন) উপহার দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমঝোতা চুক্তির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা জাপানের স্বনামধন্য বিশ্বিবদ্যালয়ে বৃত্তি পাবে। তারা গবেষণা করতে পারবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে। আমরা কেবল সমঝোতা স্মারক করেই শেষ করব না, এটা যাতে কার্যকর হয় সে ব্যবস্থাও করব। এর ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই একাডেমিকভাবে লাভবান হবে।’
ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেডিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাসানরি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারিত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুইপক্ষই লাভবান হব।’
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন/এসএসকে/

