ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্কুল অ্যাসেম্বলি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্কুল কমিউনিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে দেশের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অ্যাসেম্বলিতে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশপ্রেম, ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফুটে ওঠে। আইএসডির প্রাইমারি স্কুল প্রিন্সিপাল ড. মাইকেল পালমারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর প্রাইমারি ইয়ার্স প্রোগ্রাম (পিওয়াইপি) ও মিডল ইয়ার্স প্রোগ্রামের (এমওয়াইপি) শিক্ষার্থীদের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপিত হয়। এতে বাংলাদেশের ইতিহাসভিত্তিক বর্ণনা, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। ‘আগামী পঞ্চাশে’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘চলো সবাই’ ও ‘ও পৃথিবী এবার এসে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।
এছাড়া ‘পতাকার মূল্য’ শীর্ষক একটি নাট্য পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। ‘ব্রেভ’ গানের ওপর সরাসরি সংগীত পরিবেশনা এবং কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার আবৃত্তি অনুষ্ঠানে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং উপস্থিত সবাইকে বিজয় দিবসের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে তোলে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইএসডির প্রাইমারি স্কুল প্রিন্সিপাল ড. মাইকেল পালমার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অসীম আত্মত্যাগ রয়েছে, বিজয় দিবস আমাদের সেই ত্যাগের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা যেন এই দিনের প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবন করে বেড়ে ওঠে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আজকের অ্যাসেম্বলি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতা ও দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার এক উজ্জ্বল প্রতিফলন।
এই আয়োজনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্য, দেশপ্রেম ও সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আইএসডি কর্তৃপক্ষ।
এমএইচএস

