Logo

রাজধানী

চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৪:১২

চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের  চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

হাসপাতাল সূত্রে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিচালকের কক্ষে হামলা চালায় একদল উত্তেজিত ব্যক্তি। এসময় পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদের গায়ে হাত তোলা হয় এবং তার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চিকিৎসকদের অভিযোগ, একটা পক্ষ কিছু হলেই চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এই অবস্থায় আর কাজ করা যায় না। আমরা নিরাপত্তা চাই।

সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত চারজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওই চারজন রোগী বিষপান করেন বলে জানা যায়। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তীব্র বাকবিতণ্ডা, হুমকি, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে কর্মরত স্টাফরা।

ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসক ও কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এবং কর্মবিরতির ডাক দেন। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ বলেন, গতকালের অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। আমি ছুটিতে আছি, দায়িত্বে অন্য একজন আছেন।

এদিকে কর্মবিরতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। সকাল থেকেই আউটডোরে দীর্ঘ লাইন থাকলেও কাউন্টারে টিকিট দেওয়া বন্ধ। কোনো চিকিৎসক চেম্বারে উপস্থিত হননি। নির্ধারিত সব অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ চালু রাখা হয়েছে।

রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের অপারেশনের তারিখ ছিল আজ। সকালে এসে দেখি সব বন্ধ। ডাক্তার-নার্স কেউ নেই। কী করব বুঝতে পারছি না।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর আশ্বাস না আসায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

  • এসআইবি/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর