
ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে হওয়া এ বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও। এতে পরিবেশ কিছুটা শীতল হলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই লঘুচাপের প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ছয়টি উপকূলীয় অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দুপুরের মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে (দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে) ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতেও ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সাথে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।
অন্যদিকে, বুধবার (২৮ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নৌযান, জেলেরা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
- ডিআর/এটিআর