-(23)-6839d5a50bb63.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রস্তুত ১৯টি পশুর হাট। যদিও দু-একটি হাট ব্যতীত অধিকাংশ হাটেই এখনো বেচাবিক্রির মতো পশুর সমাগম ঘটেনি। পশুর হাটে দু-চারজন দর্শনার্থী থাকলেও এখন পর্যন্ত নেই ক্রেতার উপস্থিতি।
কোনো কোনো হাটের ইজারাদারদেরও খুঁজে পাচ্ছেন না দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পশুর মালিকরা। ইজারাদারদের তৎপরতা না থাকায় কিছুটা বিপাকেও পড়ছেন তারা।
তবে বিক্রেতা কিংবা হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টির কারণেই এ বছর এমনটা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বছর নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে হাটের ইজারা পেলেও বৃষ্টির কারণে এখনো হাট জমজমাট করা সম্ভব হয়নি। গত বছর যেখানে এই সময়ে হাটের বেচাবিক্রিই শুরু হয়েছিল পুরোদমে।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর কোরবানির পশুর হাটের চিত্রই জানান দেয় ঈদুল আজহার আগমনি বার্তা। অন্যবার ঈদের প্রায় ১৫ দিন আগেই হাটের প্রস্তুতির সম্পন্ন হলেও এবার ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের দরপত্রের কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ায় হাট প্রস্তুতের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে।
বিক্রেতারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন তারা। তবে বৃষ্টির কারণে এখনো বেচাকেনাই শুরু হয়নি। হাটে নিজেরাই নিজেদের মতো করে গরু রাখছেন। হাটের যারা ইজারা নিয়েছেন তাদের দু-একজন স্বেচ্ছাসেবক আর মাইক বাজতে দেখা গেলেও বৃষ্টির কারণে ইজারাদারদের কাউকে পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পশুর হাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাঁশ-ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে কোরবানির পশু তোলা হয়েছে। তবে তা অতীতের তুলনায় একেবারেই কম। এছাড়া রাস্তার পাশে থাকা খালের পানি রাস্তা পর্যন্ত উঠে যাওয়ায় পশু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যা নিয়ে ইজারাদারদের কোনো মাথা ব্যথাই নেই।
এদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে কোরবানির পশু এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির মধ্যে পশু নিয়ে দাঁড়ানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। কাদাযুক্ত মাটি হওয়ায় পশু রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীদেরও থাকা-খাওয়া বিষয়ে কথা বলার জন্য ইজারাদারদের কাউকেই পাচ্ছেন না তারা। তবে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বেচাবিক্রি না থাকলেও আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পশুর হাট জমে উঠবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় হাটে মাদারীপুর থেকে ৭টি গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ৭টি গরু নিয়ে এসেছি। তবে বৃষ্টির কারণে বিক্রি হচ্ছে না, ক্রেতাই নেই। তার ওপরে বৃষ্টি। তবে তিনি আশা করছেন, বৃষ্টি থেমে গেলে হাট জমে উঠবে।
এ বছর পশুর দাম কেমন যাবে জানতে চাইলে বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, এখনো বলা যাচ্ছে না। বেচাকেনা শুরু হলে তখন বোঝা যাবে এবার পশুর দাম কেমন যাবে। তবে তার কাছে থাকা ৭টি গরুর মধ্যে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা দাম ধরেছেন এমন গরু রয়েছে তিনটি।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রতিটি পশুর হাসিল ধার্য করা হয়েছে পশুর দামের শতকরা ৫ টাকা।
এনএমএম/এমআই