এবারও ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তি বাড়াবে যাত্রাবাড়ী কাজলা-শনির আখড়া পশুর হাট।

প্রতি বছরই মহাসড়কটির দুই পাশে ঘেঁসে বসে এ হাট। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় এখনও হাটটি জমে না ওঠায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি মহাসড়কে।

যদিও যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ বলছে, বৃষ্টি কমলে বেচাবিক্রিও বাড়বে। তখন কিছুটা ভিড় বাড়বে এবং মহাসড়কে এর প্রভাব পড়তে পারে। যদিও মহাসড়কে যানজট এড়াতে কাজ করছে পুলিশ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাজলা-শনির আখড়া হাট এখনও জমে উঠেনি। অতীতের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ গরু এসেছে হাটে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে গরু আনছেন না তারা। এছাড়া ক্রেতাও নেই হাটে। যারা আসছেন তারাও কিনছেন না। হাট ঘুরে চলে যাচ্ছেন। এজন্য হাটে ভিড়ও নেই তেমন।

হাটের ইজারাদার তারিকুল ইসলাম তারেক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এবার বৃষ্টির কারণে হাট জমতে সময় লাগছে। তবে আশা করছি শনিবার রাতের মধ্যেই হাট ভরে যাবে। ট্রাক আসছে, প্রচুর গরু নামবে আজ।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার বিক্রি ছিল ২৫ লাখ। শনিবার বিক্রি আরও বাড়বে।

মহাসড়কে যানজটের বিষয়ে হাটের ইজারাদার বলেন, মহাসড়ক ক্লিয়ার রাখতে ডিসি ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ও যাত্রাবাড়ী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আমাদের ভলেন্টিয়াররাও কাজ করছে। মহাসড়কে কোনো রকম চাপ পড়তে দেব না আমরা।

ওয়ারী ট্রাফিক জোনের ডিসির নাম্বারে এলাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে অফিসিয়ালি বক্তব্য দিতে পারবেন না জানিয়ে এডিসি বলেন, বেশি করে রিপোর্ট করেন, পশু যেন রাস্তায় না উঠায়।

এনএমএম/এমবি