Logo

রাজধানী

মহাসড়কের পাশে পশুর হাট : কঠোর অবস্থানে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১৬:১৯

মহাসড়কের পাশে পশুর হাট : কঠোর অবস্থানে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ

ছবি : সংগৃহীত

প্রতিবছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে  রাজধানীতে পশুর হাটের ইজারা দেয় সিটি কর্পোরেশন। তবে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে কোথাও কোথাও সড়কেও বিস্তৃত করা হয় হাট। এতে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তি বাড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও কার্যত হাট ছড়িয়ে পড়ে সড়ক-মহাসড়কেও। 

এরমধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ীর কাজলা-শনির আখড়া হাট। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন হাটেও একই সমস্যা দেখা যায়। তবে এবার সড়ক-মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী হাট পরিচালনায় কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে বেশকিছু শর্ত ও পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।  

ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার মতো প্রধান সড়কগুলোর পার্শ্ববর্তী হাট পরিচালনায় কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে।  

এসব বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। মন্ত্রণালয়ে মিটিং করেছি। আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। কোনোক্রমেই রাস্তায় পশুর হাট বসানো যাবে না। প্রধান সড়কগুলোর পাশেও না। প্রধান সড়কের পাশে যদি পশুর হাট ইজারা দিতে হয় তাহলে স্কেচ ম্যাপ দিয়ে নির্ধারিত পরিমাপ উল্লেখ করে দিতে হবে। এরপর আমাদের ট্রাফিক বিভাগ থেকে সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে যে এই জায়গার হাট রাস্তার মধ্যে আসবে কি না। হাটে প্রবেশের একটা ঢোকার ও আরেকটা বের হওয়ার রাস্তা রাখতে হবে। একই রাস্তায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য হলে সেখানে জ্যাম লেগে যায়।

তিনি বলেন, ছোট ছোট রাস্তার পাশে যদি হাট বসাতে হয় তাহলে রাস্তার পাশ দিয়ে বেড়া দিতে হবে। গাড়ি থেকে পশু নামানো ও ওঠানোর জন্য রাখতে হবে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা। কোনো হাটে যদি ওঠানো-নামানোর জায়গা না থাকে তাহলে আধা কিলোমিটার দূর থেকে পিকআপে ওঠানো-নামানোর ব্যবস্থা করতে হবে। থাকতে হবে স্বেচ্ছাসেবক, ম্যাজিস্ট্রেট। সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট তো রাস্তা থেকে সরাতে পারবে না। তাই আমরা বলেছি বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ বলেছে আমাদের সঙ্গে পশুর হাটের সম্পর্ক কী? আমরা বলেছি বিআরটিএর রাস্তায় যদি পশুর হাট বসে বা চলে আসে তাহলে বিআরটিএ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের সেখান থেকে সরাবে। পুলিশেরও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, যারা  অনগ্রাউন্ড বিচার করে জেল-জরিমানা দেবে। পুলিশের সঙ্গে সহযোগী ফোর্সও সব সময় দায়িত্বে থাকবে। হাইওয়ে রোডের আশপাশে পশুর হাটের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর।

এনএমএম/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহার সব খবর ঈদুল আজহা বাংলাদেশ পুলিশ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর