সোমবার থেকে জমজমাট হবে পশুর হাট, বাড়বে বেচাকেনা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ২১:০৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঈদের বাকি আর মাত্র ৫ দিন। সে হিসেবে আজ রোববার পর্যন্ত দু-একটি হাট ব্যতীত জমজমাট হতে দেখা যায়নি রাজধানীর ১৯টি পশুর হাট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবিষয়ক তৎপরতা, ইজারাদারদের হাট প্রস্তুত ও ব্যবসায়ীদের পশু নিয়ে দৌড়ঝাঁপ দেখা গেলেও দৃশ্যত দেখা যায়নি বেচাবিক্রি। যতটা বেচাবিক্রি হয়েছে হাটগুলোতে তা বিগত বছরের তুলনায় একেবারেই কম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (২ জুন) থেকে বিক্রির সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।
তারা বলছেন, সারাদেশ থেকে প্রচুর পশুর সমাগম ঘটছে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে। গত দুইদিন টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীমুখী পশুর গাড়ি ছিল কিছুটা কম। তবে রোববার দুপুরের পর থেকে এই চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে। দক্ষিণ ও উত্তর সিটির বেশকিছু হাট ঘুরে দেখা গেছে ধারাবাহিকভাবে ট্রাক থেকে গরু নামানো হচ্ছে।
রোববার (১ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা-শনির আখড়া হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশুবোঝাই ট্রাক নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতাদের সমাগমও বাড়তে শুরু করেছে।
গরু কিনতে আসা শনির আখড়ার বাসিন্দা কায়সার আহমেদ বলেন, ‘আজ যেহেতু গরু আসছে, আগামীকাল কিনব ভাবছি। আজ দরদাম যাচাই বাছাই করে দেখছি। কমবেশি সবাই আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই পশু কিনবেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।’
শরীয়তপুর থেকে আসা গরু ব্যাপারী রুহুল মাদবর বলেন, ‘আমি ১৫টি গরু এনেছি। আজ রাতের মধ্যে আরও ২০টি গরু আসবে আমার। এখন পর্যন্ত চারটি গরু বিক্রি করেছি। বৃষ্টি না হলে আরও বেশি বিক্রি করতে পারতাম। তবে আজ বিকেল থেকেই লক্ষ করছি ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আশা করছি, আগামীকাল থেকে বিক্রি বাড়বে। তাই আজ বাকি গরুগুলোও নিয়ে আসছি হাটে।’
শনিরআখড়া হাটের ইজারাদার তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘গত কয়েকদিন একদিকে হাট প্রস্তুতের কাজ চলছিল, অন্যদিকে দুই চার ট্রাক করে গরু আসছিল। ক্রেতাদের উপস্থিতিই ছিল না। আজ যে হারে গরুর ট্রাক আসছে সে হিসেবে আশা করছি আগামীকাল সকাল পর্যন্ত কানায় কানায় গরু ভর্তি হয়ে যাবে হাট। আমাদের ভলেন্টিয়াররা ব্যবসায়ীদের সার্বিক বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা বিষয়েও সতর্ক রয়েছি। ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা মাথায় রেখেই আমরা হাট পরিচালনা করছি। তবে ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টির কারণে নানা ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে।’ ক্রেতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে।’
এদিকে ধোলাইখাল, পোস্তগোলা, শাহজাহানপুর হাটেও গরুভর্তি ট্রাক আসতে দেখা গেছে। বৃষ্টি না থাকলে আরও গরু আসবে বলে ধারণা করছেন ইজারাদাররা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারাও আসছেন। গরু না কিনলেও দরদাম করছেন। আগামীকাল থেকে বিক্রি বাড়তে পারে।
উত্তরার দিয়াবাড়ি পশুর হাটের শুরুতেই কিছুটা অনিয়ম থাকলেও এখন সেখানেও দেশের বিভিন্ন জেলা গরু আসছে। দু-চারটি করে গরু বিক্রিও হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এই হাটে পশুর দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এনএমএম/এমআই