কত টাকায় বিক্রি করবেন কালো মানিক? যা বললেন বিক্রেতা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১৪:০২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজধানীর শাহজাহানপুর কলোনির কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। তবে বেচাকেনা এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। হাটজুড়ে ভিড় থাকলেও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, অধিকাংশই গরু দেখছেন, ছবি তুলছেন, দরদাম করে চলে যাচ্ছেন—কিন্তু কেনা হচ্ছে কম।
সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, খিলগাঁও রেলগেটসংলগ্ন এই অস্থায়ী পশুর হাটে ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন খামারিরা। কেউ এসেছেন ঝিনাইদহ থেকে, কেউ রাজশাহী কিংবা ময়মনসিংহ থেকে।
কিন্তু হাটের পরিবেশ এখনো জমজমাট বেচাবিক্রির চেহারা পায়নি। একাধিক বিক্রেতা জানান, বৃহস্পতিবার হাট শুরু হলেও শুক্রবার বিকেল থেকে কিছুটা কেনাবেচা হয়েছে। তবে রোববারেও কেনাকাটার গতি ধীর। একজন বলেন, মানুষ আসে, ছবি তোলে, দরদাম করে—কিন্তু কিনে খুব কম।
বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় তাদের পক্ষে কম দামে গরু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত দামের নিচে কেউ গরু ছাড়তে রাজি নন। তারা আশাবাদী, ঈদের দিন যত এগিয়ে আসবে, বেচাবিক্রির গতি ততই বাড়বে।
এদিকে, হাটটির সবচেয়ে বড় গরু ‘কালো মানিক’ এখনো অবিক্রিত রয়েছে। গরুটির ওজন প্রায় ৩২ মনেরও বেশি।
গরুর মালিক মো. ইদ্রিস বাংলাদেশের খবরকে বলেন , ‘আজ দুপুর পর্যন্ত দু-চারজন ক্রেতা এসেছেন, দরদামও করেছেন। তারা ৪-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। কিন্তু আমার চাওয়া ১৩ লাখ। দরদাম হলে ছেড়ে দেব।’
এখন দেখার বিষয়, ঈদের আগে কেউ ‘কালো মানিক’ কিনে নেয় কি না। আপাতত গরুটি শাহজাহানপুর হাটের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
- ডিআর/এটিআর/জেসি