-684054edb8077.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে নগরবাসী। এবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই ছুটি কাটাবেন টানা ১০ দিন। ছুটির এই ১০ দিনে ঢাকা থাকবে কার্যত ফাঁকা।
বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সর্বত্রই থাকবে অনেকটাই শুনশান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে ঢাকায়। ফলে আগামীকাল থেকেই ফাঁকা ঢাকায় দৌরাত্ম্য বাড়বে চোর-ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের।
পরিবার নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন এমন অনেকেই বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান তৎপরতা না থাকলে ফাঁকা বাসা কিংবা অফিস আদালতে ঘটতে পারে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, তিনটি স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যেমন ঈদ পূর্ববর্তী, ঈদের সময় ও ঈদ পরবর্তী। তবুও এক ধরনের ছাপা আতঙ্ক নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বাংলঅদেশের খবরকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মূলত তিনটি পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদে উদযাপনের লক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কৌশলগত স্থানে চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, রাত্রিকালীন টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ঢাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে মহানগর পুলিশ নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রবাসীর জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে র্যাব। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মুত্তাজুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় সব সময় সজাগ থাকে র্যাব। আসন্ন ঈদুল আজহায় র্যাবের পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদে মানুষের নিরাপত্তায় গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এ সময় ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা তৎপর আছেন।
র্যাব জানিয়েছে, ঈদে নিরাপত্তায় গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রল, মোবাইল প্যাট্রল, সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি থাকবে। সব ধরনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নকল টাকার ব্যবহার প্রতিরোধে বরাবরের মতো সজাগ আছে র্যাব।