ঈদুল আজহার টানা ছুটি শেষে রোববার (১৫ জুন) কর্মব্যস্ততায় ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে যাওয়ায় সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনের শুরু থেকেই রাজধানীর কুড়িল, তিনশ ফিট, গুলিস্থান, কাকরাইল, বাংলামোটর ও আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে উল্টোপথে চলাচলকারী যানবাহন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, ঈদের পরবর্তী সময়ের সড়ক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এবার তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। উল্টোপথে চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে নিয়মিত অভিযান।

রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। কুড়িল বিশ্বরোড, গোলাপবাগ, গুলিস্থান, কাকরাইল ও বাংলামোটর এলাকায় দিনভর অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক মামলা করা হয় উল্টোপথে যাওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কাজী আজম মাহমুদ বলেন, ‘আজ দুটি পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ২৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে, বাকিগুলো প্রাইভেটকার ও অন্যান্য গাড়ির বিরুদ্ধে।’

তিনি জানান, মোটরসাইকেল প্রথমবার উল্টোপথে গেলে ১ হাজার টাকা জরিমানা, দ্বিতীয়বারে তা বেড়ে হয় ২ হাজার টাকা। চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথমবার জরিমানা আড়াই হাজার টাকা, দ্বিতীয়বারে তা দাঁড়ায় ৫ হাজারে।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নগরবাসীকে শৃঙ্খল সড়ক উপহার দিতে তাদের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় চলবে নিয়মিত অভিযান। প্রতিটি অভিযানে অংশ নিচ্ছেন দুইজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, দুইজন সাব-ইন্সপেক্টর ও তিন-চারজন কনস্টেবল।

গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে উল্টো পথে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশের জালে পড়েন বাইকার নুরুল নবী। জরুরি প্রয়োজনে মাত্র ২০০ মিটার উল্টো পথে যাওয়ার কথা বললেও তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু শুনেনি। এক হাজার টাকার মামলা দিয়েছে।’

অফিস খোলার প্রথম দিনেই ঢাকা যেন ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা চেহারা। তবে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে ডিএমপির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, শুধু জরিমানায় সীমাবদ্ধ নয়, নাগরিকদের সচেতন করতেও চলবে তাদের তৎপরতা।