নগদ পরিবেশকের টাকা লুট : সাবেক পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৯:১৪
-68540d48bd82c.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরা থেকে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর পরিবেশকের ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এবং এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের জড়িত থাকার তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ লাখ টাকার বেশি এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চক্রের মূল হোতা মো. গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন (৫০) এক সময় পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি চাকরিচ্যুত। অপর অভিযুক্ত শেখ মো. জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল (৪৩) একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট, যিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘ক্যাপ্টেন জালাল’ হিসেবে।
গত ১৪ জুন সকালে নগদ পরিবেশক আবদুল খালেক ওরফে নয়ন চার কর্মচারীসহ বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাদের কাছে ছিল চারটি ব্যাগভর্তি ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের সংযোগস্থলে পৌঁছালে কালো একটি মাইক্রোবাসে এসে ছয়-সাতজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে। র্যাবের লোগো সংবলিত কটি পরা সশস্ত্র ওই ব্যক্তিরা অস্ত্রের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তিন কর্মচারীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের বৃন্দাবন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে। একইভাবে জালাল উদ্দিন ডাকাতির পরদিন ১২ লাখ টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেন। গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৩ হাজার টাকা।
অন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাইক্রোবাস চালক মো. হাসান (৩৫), মো. ইমদাদুল শরীফ (২৮), যার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার টাকা এবং মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন (২৭)।
পুলিশ জানায়, এই সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ‘র্যাব’ ও ‘পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে নকল র্যাব-পুলিশের পরিচয়পত্র, সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত মানিব্যাগ, সিগন্যাল লাইট, চেকবই এবং মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনায় জড়িত বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি লুট হওয়া অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এনএমএম/এমএইচএস
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন