বোয়েসেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, রেমিট্যান্স হারানোর শঙ্কা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৮:২৫
-(54)-685a991edcf22.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ব্রুনাইয়ে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল-এর ধীরগতি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ব্রুনাই শ্রমবাজারের সংকট ও সিন্ডিকেট দুর্নীতি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ ওঠে।
সংগঠনটির সভাপতি ইকরাম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ব্রুনাইয়ে বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বোয়েসেল মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক পাঠাতে পেরেছে। তাও প্রতি কর্মী ৪-৫ লাখ টাকা আদায় করে। অথচ এটি হওয়া উচিত ছিল নিছক সার্ভিস চার্জের ভিত্তিতে।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিলেই বোয়েসেলকে একতরফাভাবে শ্রমিক রপ্তানির একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে। এতে করে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে এবং তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইকরাম চৌধুরী বলেন, ‘যারা ব্রুনাইয়ে নিয়মিত বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতো, তাদের বাদ দিয়ে কৌশলে একটি ‘সিন্ডিকেট ব্যবস্থা’ গড়ে তোলা হয়েছে। এতে শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, দেশের রেমিট্যান্স আয়ের সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়েছে।’
সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, ব্রুনাই দারুসসালামে এখনও বিপুলসংখ্যক কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বোয়েসেলের ধীর গতির কারণে ব্রুনাই শ্রমবাজারটি অন্য দেশের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি, বাংলাদেশ যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশের শ্রমশক্তি রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ধরনের ধস নামতে পারে।
ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে-বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য শ্রমবাজার খুলে দেওয়া, বোয়েসেলের কার্যক্রমের স্বচ্ছ তদন্ত এবং কর্মী প্রেরণে দুর্নীতিমুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক ও উন্মুক্ত নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানায়।
এনএমএম/এমআই