Logo

রাজধানী

নিষেধাজ্ঞা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না সভা-সমাবেশ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৪

নিষেধাজ্ঞা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না সভা-সমাবেশ

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে দফায় দফায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেও তা ঠেকানো যাচ্ছে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) একের পর এক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, কিন্তু আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ কর্মসূচি থেমে থাকছে না। 

সর্বশেষ আজ রোববার (১৩ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে বেশ কিছু স্থানে সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সামনেসহ আশপাশ এলাকায় যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি, মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। 

ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যেকোনো দাবিদাওয়ার কারণে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে বাস্তব চিত্র বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাইকোর্ট এলাকা, সুপ্রিম কোর্টের সামনেসহ নানা স্পর্শকাতর এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংগঠন সমাবেশ বা মানববন্ধন করছে। আইনজীবী, শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী কিংবা ক্ষুব্ধ জনতার দাবিনির্ভর এসব কর্মসূচি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্যও বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে ডিএমপি একাধিকবার এসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও তা বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তাপ ও সামাজিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে- দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেও যদি বাস্তবে তার প্রভাব না পড়ে, তবে এর কার্যকারিতা কোথায়? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর বিক্ষোভ ঠেকানোই এখন প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

  • এনএমএম/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ডিএমপি সমাবেশ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর