রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, “অপরাধী যেন কেউ ছাড় না পায়, সেজন্য সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে অপরাধীদের দমন করতে হবে।” 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসিক (জুন-২০২৫) অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

এসময় শেখ মো. সাজ্জাত আলী ডিএমপির সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনাগুলো হলো, টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা, অপরাধ প্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তির হার বাড়ানো, মাদকসহ অস্ত্র ও চোরাই গাড়ি উদ্ধার তৎপরতা জোরদার এবং ওয়ারেন্ট তামিলে তৎপরতা নিশ্চিত করা। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ইউনিট প্রধানদের দায়িত্ব হলো নিজ নিজ ইউনিট দক্ষতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে পরিচালনা করা। দায়িত্ববোধ, আগ্রহ এবং আন্তরিকতা নিয়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।” 

এর আগে সভায় ডিএমপির মাসিক সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন। এতে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। 

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, “ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা তদন্তে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কাজ করে জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে।” 

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ঈদুল আজহার সময় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সবাই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে তদন্ত কার্যক্রমে তদারকি আরও জোরদার করতে হবে।” 

সভা শেষে জুন মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসেবামূলক কার্যক্রমে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির শ্রেষ্ঠ পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। সভায় ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জ, উপ-পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী।

এসআইবি/এএ