Logo

রাজধানী

সদরঘাটে শিক্ষার্থী-লঞ্চকর্মী সংঘর্ষ, আহত ৯

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩০

সদরঘাটে শিক্ষার্থী-লঞ্চকর্মী সংঘর্ষ, আহত ৯

পুরান ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বরিশালগামী সুন্দরবন-১২ লঞ্চের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা লঞ্চটি ভাঙচুর করেন, ফলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত আটটার দিকে সদরঘাট টার্মিনালের ১ নম্বর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জবি ফিন্যান্স বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাবিল বরিশালগামী লঞ্চে উঠলে কর্মীরা জোর করে কেবিন ভাড়া নিতে চাপ দেন। নাবিল অস্বীকৃতি জানালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকজন স্টাফ মিলে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে সহপাঠীরা এলে তাদের ওপরও হামলা হয়।

আহতরা হলেন— নাবিল, শের আলী, ব্রজ গোপাল রায়, জিলন, ইমরোজ সিদ্দিক, আনিছ, টিঙ্কু, মাকসুদুল হক, রিহাব ও মুজাহিদ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সুমনা হাসপাতালে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সদরঘাটের ইজারাদার ও দক্ষিণাঞ্চল শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ কিরনের নেতৃত্বে কয়েকজন লঞ্চকর্মী হামলায় অংশ নেন।

ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা লঞ্চ ঘেরাও করে ভাঙচুর চালান। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রী রাজীব জানান, ‘আমরা টিকিট কেটেছি, কিন্তু এখন লঞ্চ যাবে না। টাকা ফেরতও পাওয়া অনিশ্চিত।’

অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চারজনকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজাম্মুল হক জানান, ‘শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে— হামলাকারী কিরণ ও সহযোগীদের গ্রেপ্তার, সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই, ক্ষতিপূরণ প্রদান, যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং কুলিদের অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ।’ দাবি মানলে সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

ডেএন/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর