---2025-08-19T082159-68a3e0669652f.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
আগামী এক বছরে জাপানে কয়েক লাখ কর্মী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য প্রয়োজন হবে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। তবে শর্ত হলো জাপানি ভাষা শেখা এবং কারিগরি দক্ষতা অর্জন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভস ভবনে ‘জাপানে উচ্চশিক্ষা ও কর্মী প্রেরণের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটস ইন বাংলাদেশ (আজলিব)।
সেমিনারে জানানো হয়, প্রতিবছর অন্তত এক লাখ কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাপান সেল। এ ক্ষেত্রে বিদেশগামীদের ব্যাংক থেকে ন্যূনতম পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ রয়েছে। তবে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি ছয় মাসের মধ্যে লোক পাঠাতে ব্যর্থ হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, দক্ষতার অভাবে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কম বেতনে কাজ করেন এবং খরচ চালাতে হিমশিম খান। অনেকে বাধ্য হয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নেপালের মতো দেশ কর্মী প্রেরণে এগিয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারে আজলিবের সভাপতি মো. ওয়াকিল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাপান সেলের প্রধান শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া আহসান, বিডার নাহিয়ান রহমান রুচি, বিডিজবসের সিইও ফাহিম মাশরুর প্রমুখ। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ‘জাপান সরকার আগামী বছর ১০ হাজার শিক্ষার্থী নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। টিউশন ফি প্রদানের পদ্ধতিও সহজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা যদি প্রশিক্ষিত হন, তবে জাপানে তাদের চাহিদা আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে আজলিবের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও দেশের বিভিন্ন জাপানি ভাষা শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
- এইচকে/এমআই