Logo

রাজধানী

দোহার ও নবাবগঞ্জকে পৃথক ২টি সংসদীয় আসন করার দাবি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২৭

দোহার ও নবাবগঞ্জকে পৃথক ২টি সংসদীয় আসন করার দাবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঢাকা-১ আসন (দোহার ও নবাবগঞ্জ) আগের মতো ২টি পৃথক আসন করার দাবি জানিয়েছে দুই উপজেলার বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসন নিয়ে শুনানিতে এ দাবি জানান তারা।

শুনানিতে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক মো. হুমায়ূন কবীর নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিগত সরকারের স্বৈরাচারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার ছিল ঢাকার আসন ১৩টি থেকে বাড়িয়ে ২০টি করা। ওই সরকারের সব কর্মকাণ্ড ছিল ঢাকা কেন্দ্রিক। বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলন সংগ্রামে স্বৈরাচার সরকার শুধু ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণ করে পুরো দেশ পরিচালনা করতো।’  

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা আবারো কোন স্বৈরাচারী সরকার চাই কিনা। আগামী দিনে স্বৈরাচার নাকি জনবান্ধব সরকার আসবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। আপনারা যদি আগামীতে স্বৈরাচার সরকার না চান, তাহলে ২০০৮ সালে কমবেশি ১৫০ আসন কাটা ছেঁড়া করা নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। ঢাকা সিটিতে সোয়াশোর মত কাউন্সিলর ৮০ জনের মত নারী কাউন্সিলর এবং দুইজন মেয়র থাকার পরও এতগুলো আসন কেন প্রয়োজন তা আমাদের বুঝে আসে না।’ 

মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে বিগত সব নির্বাচনে দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন গঠিত ছিল। এই দুই আসনের সিংহভাগ মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হওয়ার অপরাধে ২০০৮ সালে দুইটি আসনকে একটিতে রূপান্তর করা হয়।’

তিন আরো বলেন, ‘গত ১৭ বছর আমাদের এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে দোহার এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে নবাবগঞ্জ আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র প্রশাসনিক এলাকা। দুই উপজেলা মিলে আয়তন ৪০০ বর্গ কিলোমিটারে উপরে। এত বড় সংসদীয় আসন একজন জনপ্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব করা কঠিন।’

এসআইবি/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর