
ঢাকা-১৮ আসনের চারটি ওয়ার্ডকে ঢাকা-১৬ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব ঘিরে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের এমন উদ্যোগকে ‘ভাগাভাগির রাজনীতি’ আখ্যা দিয়ে সাধারণ বাসিন্দারা বলছেন, তাদের মতামত উপেক্ষা করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উত্তরা সংলগ্ন ওই চারটি ওয়ার্ডকে ঢাকা-১৬ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উত্তরার বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার সবকিছুই উত্তরা কেন্দ্রিক। দীর্ঘ আন্দোলনের পর এ অঞ্চলকে মিরপুর থেকে আলাদা করে উত্তরার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এখন আবার সেই পুরোনো সংকটে ফেরানোর চেষ্টা হলে নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে।
৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাফিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের সব কাজ করি উত্তরার ওপর নির্ভর করে। তাহলে কেন আবার অন্য আসনে ঠেলে দেওয়া হবে? মানুষকে অবহেলা করার এ সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।’
একইভাবে নূরে আলম নামে আরেকজন বলেন, ‘ভোটারদের না জানিয়ে চারটি ওয়ার্ডকে অন্য আসনে নেওয়ার চেষ্টা রাজনীতির নোংরা দিকই তুলে ধরে। এতে জনগণের আস্থা হারাবে বিএনপি।’
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক সুবিধা ও প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার কৌশল হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে বাস্তবে এটি সাধারণ মানুষের উদ্বেগ, ক্ষোভ ও অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কোনো নেতার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর তুরাগে ঢাকা-১৮ ও ঢাকা-১৬ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এএইচএস/এমবি